সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩১
আমতলী প্রতিনিধি, (বরগুনা)।।
আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কুলাইরচর গ্রামে এক গার্মেন্টস কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনায় দুই ধর্ষকের বিরুদ্ধে সোমবার সন্ধ্যায় মামলার পর তাদের গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আঠারগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা ঢাকার গার্মেন্টেসে কর্মরত এক তরুনীর সঙ্গে আঠারগাছিয়া গ্রামের দেলোয়ার সিকদারের ছেলে জুয়েল সিকদার ওরফে আকাশের সাথে ১ বছর পূর্বে মোবাই ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই গার্মেন্টস কর্মী লঞ্চ যোগে রবিবার সকালে আমতলী এসে পৌছান। সেখান থেকে জুয়েল মৃধা ওরফে আকাশ তার বন্ধু কুলাইরচর গ্রামের বশির মোল্লার ছেলে কাওছার মোল্লাকে সাথে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দিনভর বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন।
ঘোরাঘুরি শেষে রাত ৯টার সময় তারা দুজনে ওই মেয়েটিকে হলদিয়া ইউনিয়নের কুলাইচর গ্রামের আবুল ঘরামীর নির্জন একটি ধান খেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করেন। ধর্ষন শেষে মেয়েটিকে কাওছার মোল্লার বাড়িতে নিয়ে রাখেন। মেয়েটির মা এ ঘটনা জানতে পেরে সোমবার দুপুরে ওই বাড়ী থেকে তাকে উদ্ধার করে আমতলী থানায় নিয়ে আসেন।
পুলিশ বিকেলে অভিযান চালিয়ে জুয়েল মৃধা ওরফে আকাশ ও তার সহযোগী বন্ধু কাওছার মোল্লাকে কুলাইচর গ্রাম থেকে আটক করেন। আটকের পর সোমবার সন্ধ্যায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে আমতলী থানায় জুয়েল মৃধা ওরফে আকাশ এবং তার বন্ধু কাওছার মোল্লাসহ অজ্ঞাত আরো ২ জনকে আসামঅী করে মামলা করলে মামলা করেন।
মামলায় আটক জুয়েল মৃধা ও কাওছার মোল্লাকে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) রনজিৎ সরকার বলেন, ধর্ষিতা মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা মঙ্গলবার সম্পন্ন করা হয়েছে। তার জবানবন্ধী গ্রহণের জন্য আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ধর্ষন মামলায় আটকের পর ধর্ষক জুয়েল মৃধা ওরফে আকাশ এবং তার সহযোগী কাওছার মোল্লাকে মঙ্গলবার সকালে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আরিফুর রহমান তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।